অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে অনলাইন আয়ের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। এটি একটি কার্যকরী পদ্ধতি যেখানে আপনি একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচারণা করতে পারবেন এবং আপনার প্রচারণার ফলে যখন কেউ সেই প্রোডাক্টটি আপনার রেফারেন্স থেকে ক্রয় করবে, তখন আপনি কমিশন অর্জন করবেন।
মূলত এই প্রক্রিয়াটি ই-কমার্স জগতে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং এর মাধ্যমে আপনি ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতির একটি বিশেষ ধরন, যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
এ সম্পর্কে মূলত ইংলিশে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া থাকলেও বাংলায় এই নিয়ে কোন আর্টিকেল নেই বললেই চলে। তাই আজকের এই আলোচনায় আমরা আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে এ টু জেড আলোচনা করব। আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূল সূত্র এবং এর কার্য পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই আজকের নিবন্ধনটি পড়ে ফেলুন।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অনলাইন মার্কেটিং কৌশল। যে কৌশলে আপনি আমি স্বাবলম্বী হতে পারি এমনকি অ্যাডভান্স লেভেলে কাজ করার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট প্রোগ্রাম নামে পরিচিত। এটি একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম যেখানে আপনি আমাজনের প্রোডাক্ট গুলোর জন্য এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে এবং সেগুলোর মাধ্যমে পণ্যগুলো ক্রয় করে কমিশন অর্জন করতে পারবেন।
আর এই অ্যামাজনে রয়েছে বিশাল প্রোডাক্ট লাইব্রেরী। তাই আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন প্রোডাক্ট বেছে নিয়ে অ্যাফিলিয়েট করতে পারবেন। মূলত এ ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন হিসেবে অর্থ উপার্জনে মেন পয়েন্ট অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর তুলনায় আকর্ষণীয় হওয়ার। সত্যি বলতে অন্যান্য মার্কেটিং কৌশলের তুলনায় অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক সহজ ও সময় সাশ্রয়ী।
Amazon অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূলসূত্র
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বোঝার জন্য জানার জন্য আপনাকে মূল শূদ্র হিসেবে এটা জানতে হবে যে– কিভাবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয় আর কিভাবে বা কমিশন পেয়ে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়। আর কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে amazon এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায় মোটা এমাউন্টের টাকা।
যাই হোক– আপনি যদি এফিলেট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকে সবার প্রথমে এমাজন এফিলিয়েট ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন কার্যপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে মানে নিবন্ধন করতে হবে। এর জন্য সবার প্রথমে আপনাকে amazon এসোসিয়েট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। অতঃপর সেখানে আপনার নাম ঠিকানা ওয়েবসাইট অথবা ব্লগের ইউআরএল বসিয়ে প্রয়োজনীয় আরো কিছু তথ্য দিয়ে তৈরি করতে হবে আপনার নিজস্ব একাউন্ট।
এরপর আপনি পেমেন্ট পদ্ধতি থেকে নির্বাচন করতে পারবেন আপনার পছন্দের যেকোনো একটি মাধ্যম। যে মাধ্যমে আপনি কমিশন হিসেবে যে অর্থ লাভ করবেন তা উইড্র করতে পারবেন। আর এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোফাইল সেট আপ করে প্রোডাক্ট লিঙ্ক তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়াটি চলমান মানে আপনি টাকা ইনকাম করার ওয়ে খুজে পাবেন।
এখন আসুন, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি করার প্রক্রিয়া, কনটেন্ট মার্কেটিং এবং ট্রাফিক জেনারেট সেই সাথে প্রয়োজনীয় আরো কিছু বিষয় নিয়ে জানি। যাতে করে আপনি অ্যামাজন এফফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে পারেন।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কেন, কিভাবে?
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হওয়ার জন্য প্রথমে এফিলিয়েট লিংক তৈরির প্রক্রিয়া জানতে হবে। অতঃপর আপনি যে প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করবেন সেগুলো কারা জিতবে তাদেরকে টার্গেট করে ট্রাফিক জেনারেটের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কিভাবে ট্রাফিক কে কনভার্ট করবেন, কিভাবে তাদেরকে ইমপ্রেস করবেন আর কিভাবেই বা অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করে কমিশন হিসেবে নির্ধারিত একটি অ্যামাউন্ট ধার্য করবেন সেটাই জেনে নিন পরবর্তী আলোচনাটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে। আর হ্যাঁ আপনি চাইলে আরো জানতে পারেন অ্যামাজন কেডিপি মার্কেটিং সম্পর্কে, জানি আপনার ধারণা থাকলে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ বেশ সুবিধা পাবেন।
অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক তৈরির প্রক্রিয়া
একটি সফল অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট হতে হলে আপনাকে জানতে হবে কীভাবে সঠিক অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক তৈরি করতে হয়। প্রথমে আপনার অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস ড্যাশবোর্ডে লগইন করতে হবে এবং যে প্রোডাক্টটি আপনি প্রচার করতে চান সেটি খুঁজে বের করতে হবে। এরপর “Get Link” অথবা “SiteStripe” নামক টুল ব্যবহার করে লিঙ্কটি জেনারেট করতে হবে। এই লিঙ্কটি আপনি আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, অথবা সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার কাজের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারবেন।
কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং ট্রাফিক জেনারেশন
একটা বিষয়ে অবশ্যই মাথায় রাখতে ভুলবেন না সেটা হচ্ছে– ট্রাফিক ছাড়া আপনি কখনোই সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারবেন না। আর তাই কন্টেন্ট মার্কেটিং, SEO এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে আপনাকে ট্রাফিক আনার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি কনটেন্ট মার্কেটিং করেন সেক্ষেত্রে, কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ভিজিটরদের জন্য উপকারী ও মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করবেন, যাতে করে তারা সেই কনটেন্ট পড়ে আপনার সাজেস্টক কৃত প্রোডাক্ট সম্পর্কে আগ্রহী হয় অতঃপর আপনার দেওয়া লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করে।
কেননা আপনার নির্বাচিত প্রোডাক্টটি মানুষ তখনই কিনবে যখন সেটা কেনার জন্য কোন কারণ থাকবে বা অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এর জন্য কনটেন্ট অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। এক্ষেত্রে এসইও এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে আপনাকে। আর তাছাড়াও SEO কৌশল আপনাকে গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ স্থান পেতে সাহায্য করবে, যা আপনার ওয়েবসাইটে আরো বেশি ট্রাফিক আনতে সহায়ক হবে অতএব আপনার নির্বাচিত প্রোডাক্টটি আপনার সাজেস্টক কৃত লিংক থেকে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনাও তত বাড়বে।
সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন
ইতিমধ্যে আমরা অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরির প্রক্রিয়া এবং কিভাবে কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ট্রাফিক জেনারেট করা সম্ভব এ নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু আপনার এটা জানা জরুরী অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি কিভাবে সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে পারবেন সে সম্পর্কে।
কেননা অ্যামাজনে লক্ষ লক্ষ প্রোডাক্ট রয়েছে, তবে সবগুলোই সমানভাবে লাভজনক নয়। উচ্চ চাহিদা এবং কম প্রতিযোগিতার প্রোডাক্টগুলো সাধারণত বেশি লাভজনক হয়। এছাড়া আপনি যে প্রোডাক্টগুলো সম্পর্কে ভালো জানেন, সেগুলো প্রচার করাও বেশি কার্যকর হতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন করুন ভেবেচিন্তে এবং মার্কেট এনালাইসিস করে।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কিভাবে ট্রাফিককে কনভার্ট করবেন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ট্রাফিককে ক্রেতাতে পরিণত করা। এর জন্য আপনাকে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে হবে। আপনার কন্টেন্টের মধ্যে পণ্যের বেনিফিট, ব্যবহারকারীদের রিভিউ, এবং ভিডিও ডেমো ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনার দর্শকদের প্রোডাক্ট কিনতে উৎসাহিত করবে। মনে রাখবেন ইউজারকে ধরে রাখা এবং ট্রাফিকদেরকে ইমপ্রেস করাটা এফিলেট মার্কেটিং এর সফল হওয়ার মূলমন্ত্র গুলোর মধ্যে একটি।
আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আয় কিভাবে গণনা হয়?
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে আপনার আয় মূলত নির্ভর করে আপনার প্রোডাক্টের ধরন এবং আপনার কমিশন রেটের উপর। সাধারণত, আপনি ১% থেকে ১০% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন। আপনার আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে আপনি কতজনকে আপনার লিঙ্কের মাধ্যমে প্রোডাক্ট কিনতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন তার উপর। আশা করছি এটা থেকে আপনি ধারণা নিতে পারবেন। এখন আসেন আলোচনার শেষ মুহূর্তে এমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা, চ্যালেঞ্জ এবং বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা কি?
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নতুনদের জন্য একটি চমৎকার মাধ্যম। কেননা এই মাধ্যমে বিনামূল্যে যোগদান করা যায় প্রোডাক্ট নির্বাচন করা সম্ভব হয় এবং মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করার সুবিধা ভোগ করা যায়। এছাড়াও অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে রয়েছে নানা সুবিধাদি। আর তাই এই মুহূর্তে আপনি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য বা অর্থ উপার্জনের ওয়ে হিসেবে বেছে নিতে পারেন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর চ্যালেঞ্জ ও মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন টুলস
সত্যি বলতে আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং লাভজনক একটি পদ্ধতি। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে যদি আপনি টিকে থাকতে চান তাহলে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষমতা থাকতে হবে সেই সাথে নিজেকে এক্সপার্ট করতে হবে এ বিষয়ে।
কেননা amazon এর কমিশন রেট তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম এবং প্রোডাক্ট যদি কোনো কারণে রিটার্ন হয় সেক্ষেত্রে কমিশন বাতিল করা হয়। তাই এগুলো মেনে নেওয়া আপনার কাছে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আর হ্যাঁ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কিছু টুলস রয়েছে। যেগুলোর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই মার্কেট সম্পর্কে এনালাইসিস করে জানতে পারবেন। উক্ত টুলস গুলোর নাম হলো –
- Google Analytics,
- Ahrefs, এবং SEMrush
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১. অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট হিসাবে কিভাবে নিবন্ধন করা যায়?
✓ অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস প্রোগ্রামে সাইন আপ করে সহজেই নিবন্ধন করা যায়।
২. কত ধরনের প্রোডাক্ট অ্যাফিলিয়েট হিসেবে প্রচার করা যায়?
✓ অ্যামাজনের বিপুল সংখ্যক প্রোডাক্ট অ্যাফিলিয়েট হিসেবে প্রচার করা যায়।
৩. অ্যামাজন অ্যাফি মার্কেটিং এ কিভাবে কমিশন পাওয়া যায়?
✓ আপনার শেয়ার করা লিঙ্ক থেকে যখন কেউ প্রোডাক্ট ক্রয় করে, তখন সেটা থেকে নির্দিষ্ট একটি কমিশন পাওয়া যায়।
৪. অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে কীভাবে সফল হওয়া যায়?
✓ সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন, কার্যকরী কন্টেন্ট মার্কেটিং, এবং ট্রাফিক কনভার্সন স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ বা অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হওয়া যায়।
৫. অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে আয় কত হতে পারে?
✓ আপনার প্রচারণার দক্ষতা এবং নির্বাচিত প্রোডাক্টের উপর নির্ভর করে আয়ের পরিমাণ বিভিন্ন হতে পারে। তবে সর্বনিম্ন পনেরো হাজার থেকে আপনি লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে।
তো পাঠক বন্ধুরা, এই ছিল অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত আমাদের আজকের আলোচনা। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নেক্সট আলোচনা পর্বে আবারো দেখা হবে কথা হবে। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।